PM-KISAN স্কিম ২০২৫: যোগ্যতা, আবেদন পদ্ধতি ও সুবিধা এক নজরে

 

PM-KISAN স্কিম ২০২৫: যোগ্যতা, আবেদন পদ্ধতি ও সুবিধা এক নজরে

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার ২০২৫ সালের তথ্যভিত্তিক ইনফোগ্রাফিক — কৃষকদের বছরে ₹৬০০০ আর্থিক সহায়তা, আবেদন পদ্ধতি, যোগ্যতা ও কিস্তি স্ট্যাটাস চেকের ধাপসমূহ সহ


প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি বিমা যোজনা 

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা হল ভারত সরকারের একটি জনপ্রিয় কৃষি সহায়তা প্রকল্প, যার মূল লক্ষ্য দেশের প্রান্তিক ও ছোট কৃষকদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান। এই কৃষক সহায়তা প্রকল্প-এর মাধ্যমে প্রতি বছর প্রত্যেক উপযুক্ত কৃষক পরিবারকে ₹৬০০০ টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে (DBT পদ্ধতিতে) প্রদান করা হয়। কৃষকদের এই ন্যূনতম আয় সহায়তা তিন কিস্তিতে, অর্থাৎ প্রতি চার মাস অন্তর ₹২০০০ করে দেওয়া হয়, যা তাদের মৌলিক খরচের ক্ষেত্রে সহায়ক।

এই ভারত সরকার কৃষক প্রকল্প দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষককে স্বস্তি এনে দিয়েছে এবং তাদের চাষাবাদের ব্যয়ভার কিছুটা হলেও লাঘব করেছে। প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করে এই যোজনা কৃষি ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়ক হয়েছে। বর্তমানে এটি ভারতের অন্যতম সফল কৃষক কল্যাণ প্রকল্প, যা কৃষকদের সরাসরি ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে সুবিধা পৌঁছে দেয়।

Pm-Kisan যোজনার উদ্দেশ্য

ভারতের অর্থনীতিতে কৃষির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কৃষকরা এই দেশের সমাজ ও অর্থব্যবস্থার এক অন্যতম স্তম্ভ। তবে শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলের মধ্যে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের কারণে দেশের অধিকাংশ কৃষক এখনও অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর। স্বাধীনতা লাভের পূর্বে ও পরেও কৃষক সম্প্রদায় বিভিন্ন কারণে যথাযথ আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত থেকেছেন।

এই আর্থ-সামাজিক সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে। কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করার লক্ষ্যে ভারত সরকার ২০১৮ সালে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে—প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা (PM-KISAN) চালু করে। এই স্কিমের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু হয়।

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই স্কিমের ১৯তম কিস্তি বিতরণ করা হয়েছে, যা প্রায় ৯.৮ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি DBT পদ্ধতিতে জমা হয়েছে। এখন দেশজুড়ে কৃষকরা অপেক্ষা করছেন ২০তম কিস্তির, যা জুন ২০২৫-এর মাঝামাঝি সময়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্প চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ₹৩.৬৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিতরণ হয়েছে। এই স্কিম ভারতের প্রায় ১২.৫ কোটি কৃষক পরিবারকে টার্গেট করে তৈরি হয়েছে এবং এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ কৃষক সহায়তা প্রকল্পে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার ২০২৫ সালের তথ্যভিত্তিক ইনফোগ্রাফিক — কৃষকদের বছরে ₹৬০০০ আর্থিক সহায়তা, আবেদন পদ্ধতি, যোগ্যতা ও কিস্তি স্ট্যাটাস চেকের ধাপসমূহ সহ


 কিভাবে স্কিমটি কার্যকর হয়েছিল

২০১৮ সালে তেলেঙ্গানা সরকার চালু করেছিল একটি অনন্য কৃষক সহায়তা প্রকল্প যার নাম Rythu Bandhu। এই স্কিমের মাধ্যমে কৃষকদের বছরে তিনবার সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হতো, যাতে তারা কৃষিকাজে বিনিয়োগ বাড়াতে পারেন। কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ প্রদান করার এই পদ্ধতি এতটাই সফল ও প্রশংসিত হয়েছিল যে, এটি দেশের অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য একটি মডেল হয়ে ওঠে।

এই উদ্যোগকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে ভারত সরকার ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা (PM-KISAN) চালু করে। প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পে ₹৭৫,০০০ কোটি বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এই স্কিমের আওতায় প্রতি বছর প্রায় ₹৬০০০ করে দেশের প্রায় ১২.৫ কোটি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পরিবার সরাসরি অর্থসাহায্য পেয়ে থাকেন। ২০২৫ সালের জুনে ২০তম কিস্তি আসার অপেক্ষায় রয়েছে কৃষক সমাজ, এবং এই প্রকল্প কৃষকদের আর্থিক স্থায়িত্ব গঠনে একটি বড় ভূমিকা রেখে চলেছে।

পিএম কিষাণ সম্মানিনীধি যোজনার বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি?

এই স্কিমের মূল বৈশিষ্ট্য গুলি নিম্নে আলোচিত হয়েছে:

ন্যূনতম আয়ের সহায়তা

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-KISAN) যোজনা হল ভারতের একটি সর্বভারতীয় কৃষক সহায়তা প্রকল্প, যার মূল লক্ষ্য হল দেশের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের ন্যূনতম আর্থিক সহায়তা প্রদান। এই স্কিমের আওতায় প্রত্যেক যোগ্য কৃষক পরিবার বছরে ₹৬,০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন, যা তিনটি কিস্তিতে (প্রতি চার মাসে ₹২,০০০) সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এই অর্থ ব্যবহারে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই— কৃষকরা ইচ্ছেমতো এই অর্থ ব্যয় করতে পারেন, শুধুমাত্র কৃষি কাজেই তা সীমাবদ্ধ নয়।

 অর্থের যোগান

এই স্কিমের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর সরাসরি ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার (DBT) প্রক্রিয়া। অর্থাৎ, কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার নম্বর সংযুক্ত থাকলেই তারা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে ভারত সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হয় এবং ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ₹৩.৬৮ লক্ষ কোটি টাকার বেশি কৃষকদের একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম দফায় সরকার ₹৭৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল, যা পরবর্তীতে আরও বৃদ্ধি পায় কৃষকদের সংখ্যা ও কিস্তির বৃদ্ধির কারণে।

সনাক্তকরণের দায়িত্ব

যদিও অর্থের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের, তবুও উপভোক্তা চিহ্নিতকরণের দায়িত্ব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উপর বর্তায়। প্রতিটি রাজ্য সরকার ঠিক করে কোন কৃষক পরিবার এই স্কিমের জন্য যোগ্য হবে। একজন কৃষক পরিবারের সংজ্ঞা অনুযায়ী, একজন কৃষক, তার স্ত্রী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানকে একটি একক পরিবার হিসেবে ধরা হয়। এই স্বচ্ছ ও লক্ষ্যভিত্তিক স্কিম ভারতের কৃষক সমাজে আর্থিক স্থিতিশীলতা আনার এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


 কোন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মানিনীধি প্রকল্পের জন্য যোগ্য?

PM-KISAN যোজনার যোগ্যতার মানদণ্ড অনুযায়ী, এমন কৃষক পরিবাররাই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন যাদের নাম রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কৃষি রেকর্ডে নথিভুক্ত আছে এবং যাদের কাছে চাষযোগ্য জমি রয়েছে। এই প্রকল্পের মূল উপকারভোগী হলেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা, যাদের জমির পরিমাণ ২ হেক্টর বা তার কম। আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন ভারতীয় নাগরিক হতে হবে, এবং তিনি গ্রামীণ বা শহর— যেকোনো অঞ্চলের বাসিন্দা হতে পারেন। প্রতিটি পরিবারে স্বামী, স্ত্রী এবং অবিবাহিত সন্তানকে একক ইউনিট হিসেবে ধরা হয়।

তবে কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির ব্যক্তি এই স্কিম থেকে বাদ পড়েন। যেমন: করদাতা ব্যক্তি, পেনশনভোগী (₹১০,০০০ বা তার বেশি মাসিক পেনশন), সরকারি বা আধা-সরকারি কর্মচারী, পেশাদার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, আর্কিটেক্ট এবং চেয়ারম্যান বা কর্পোরেট বোর্ডের সদস্যরা। এছাড়াও, এমন ব্যক্তিরা যাঁদের কৃষিকাজ মুখ্য পেশা নয়, তারাও এই স্কিমের আওতাভুক্ত নন। তাই আবেদন করার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত যে আপনি প্রকল্পের যোগ্যতার আওতায় পড়ছেন কি না।

✅ PM-KISAN যোজনা থেকে অযোগ্য কৃষকদের তালিকা (২০২5)

  1. প্রতিষ্ঠানিক জমির মালিক: যেসব কৃষিজমি কোনও সংস্থা, কোম্পানি বা ট্রাস্টের নামে রেজিস্টার্ড, তারা এই স্কিমের আওতায় পড়েন না।

  2. সাংবিধানিক পদে কর্মরত ব্যক্তি: রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক প্রভৃতি সাংবিধানিক পদে থাকা বর্তমান বা প্রাক্তন ব্যক্তিরা এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত নন।

  3. সরকারি কর্মচারী ও অফিসার: কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, এবং সেইসাথে ফিল্ড ইউনিট, সরকারি দপ্তর বা মন্ত্রণালয়ে কর্মরতরা এই প্রকল্পে যোগ্য নন।

  4. স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার অফিসাররা: যেসব ব্যক্তি সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংস্থা বা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংয়ে নিয়মিত কর্মকর্তা বা কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন, তারাও এই স্কিমের সুবিধা পাবেন না।

  5. স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থার সদস্যরা: পৌরসভার বর্তমান ও প্রাক্তন মেয়র, জেলা পরিষদের বর্তমান ও প্রাক্তন চেয়ারম্যানদের এই স্কিমের বাইরে রাখা হয়েছে।

  6. জনপ্রতিনিধি (সাংসদ-বিধায়ক): লোকসভা, রাজ্যসভা, বিধানসভা এবং আইন পরিষদের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্যরা এই স্কিমে আবেদন করতে পারবেন না।

  7. আয়কর দাতা: যে ব্যক্তি বা তার পরিবারের কেউ আগের অ্যাসেসমেন্ট বছরে আয়কর জমা দিয়েছেন, তারা এই স্কিমে যোগ্য নন।

  8. পেনশনভোগী (₹১০,০০০ বা তার বেশি): যেসব অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তাদের পরিবার প্রতিমাসে ₹১০,০০০ বা তার বেশি পেনশন পান, তারা স্কিম থেকে বাদ পড়বেন (তবে গ্রুপ-D/চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ব্যতিক্রম)।

  9. পেশাজীবী শ্রেণী: ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, স্থপতি (আর্কিটেক্ট) প্রভৃতি পেশার ব্যক্তিরা, যদি তারা সক্রিয়ভাবে পেশায় যুক্ত থাকেন, তবে তারা এই স্কিমের আওতায় পড়েন না।

  10. স্থানীয় সরকারি কর্মচারী: যেসব ব্যক্তি স্থানীয় পৌরসভা, পঞ্চায়েত বা অন্য কোনো স্থানে স্থায়ী সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত, তারাও এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবেন।

পিএম কিষান সম্মান নিধি যোজনায় কিভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন?


পিএম কিষান যোজনা ভারতের কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। যেসব কৃষক এই স্কিমের আওতায় পড়েন, তারা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার প্রতিটি রাজ্য সরকারকে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করার দায়িত্ব দিয়েছে। সেইসাথে, যোগ্য কৃষকরা তাদের স্থানীয় পাটোয়ারী, রাজস্ব কর্মকর্তা, বা ব্লক অফিস থেকেও আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন।

অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে আবেদন করা বর্তমানে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায়। কৃষকরা চাইলে pmkisan.gov.in এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে "New Farmer Registration" অপশন সিলেক্ট করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রয়োজন হবে: আধার নম্বর, জমির দলিল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এবং সক্রিয় মোবাইল নম্বর। যেসব কৃষক নিজেরাই ফর্ম পূরণ করতে পারেন না, তারা নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টার (CSC)-এ গিয়ে সহজেই সামান্য ফি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর, কৃষকরা অনলাইনে "Beneficiary Status" অপশন থেকে নিজের নথিভুক্তি স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। এছাড়াও, যারা ইতিমধ্যে নাম নথিভুক্ত করেছেন কিন্তু টাকা পাননি, তারাও "Know Your Status" অপশন ব্যবহার করে দেখাতে পারবেন, কোন ধাপে সমস্যা হচ্ছে। পিএম কিষান যোজনা সম্পূর্ণভাবে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (DBT) ভিত্তিক, ফলে একবার আবেদন গ্রহণ হলে সরাসরি কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হয়। সঠিক কাগজপত্র ও তথ্য থাকলে এই স্কিমে নাম নথিভুক্ত করা অত্যন্ত সহজ ও দ্রুত।

PM-Kisan যোজনায় নাম নথিভুক্তির জন্য কী কী ডকুমেন্ট লাগে?

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় (PM-KISAN) নাম নথিভুক্তির সময় আবেদনকারীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট প্রদান করতে হয়, যেগুলি স্কিমে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আধার কার্ড, কারণ এটি না থাকলে আপনি এই স্কিমের জন্য রেজিস্ট্রেশনই করতে পারবেন না। আধারের সঙ্গে মিলিয়ে আবেদনকারীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয় এবং এটি DBT (Direct Benefit Transfer)-এর জন্য অপরিহার্য।

এর পাশাপাশি, আবেদনকারীকে নিজের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ জমা দিতে হবে। সাধারণত আধার কার্ড বা ভোটার কার্ডেই এটি নিশ্চিত হয়। এছাড়াও, যেহেতু এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র চাষযোগ্য জমির মালিকদের জন্য, তাই জমির মালিকানার কাগজপত্র বা জমির পর্চা দাখিল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জমির কাগজে কৃষকের নাম থাকা বাধ্যতামূলক, না হলে আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।

শেষত, আবেদনকারীর একটি সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও IFSC কোড থাকা আবশ্যক, যাতে DBT-এর মাধ্যমে টাকা সরাসরি জমা দেওয়া যায়। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এই সব ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। তাই আবেদন করার আগে ডকুমেন্টগুলো প্রস্তুত রাখা জরুরি। অনলাইনে বা CSC-র মাধ্যমে আবেদন করার সময় এই ফাইলগুলোর ফরম্যাট (PDF/JPEG) ও সাইজ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে হয়। সব মিলিয়ে, এই ডকুমেন্টগুলো সঠিক থাকলে আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ ও দ্রুত সম্পন্ন হয়।

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার ২০২৫ সালের তথ্যভিত্তিক ইনফোগ্রাফিক — কৃষকদের বছরে ₹৬০০০ আর্থিক সহায়তা, আবেদন পদ্ধতি, যোগ্যতা ও কিস্তি স্ট্যাটাস চেকের ধাপসমূহ সহ

অনলাইনে কিভাবে পিএম কিষান স্কিমের বেনিফিশিয়ারি স্ট্যাটাস চেক করবেন?

✅ Step-by-Step: অনলাইনে PM-Kisan Beneficiary Status চেক করুন


🔹 Step 1:
প্রথমে PM-Kisan অফিসিয়াল ওয়েবসাইট খুলুন
👉 ওয়েবসাইট: https://pmkisan.gov.in


🔹 Step 2:
হোমপেজে "Farmers Corner" নামে একটি সেকশন পাবেন (ডানদিকে নিচে দিকে)
👉 সেখানে "Beneficiary Status" অপশনে ক্লিক করুন


🔹 Step 3:
নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। সেখানে দুটি অপশন পাবেন:

  • Registration Number দিয়ে চেক করুন

  • অথবা মোবাইল নম্বর দিয়ে OTP-এর মাধ্যমে চেক করুন


🔹 Step 4:
আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা মোবাইল নম্বর দিন
👉 CAPTCHA কোড দিন
👉 তারপর "Get Data" বোতামে ক্লিক করুন


🔹 Step 5:
আপনার স্ক্রীনে আপনার সমস্ত ইনস্টলমেন্টের তথ্য ও বর্তমান স্ট্যাটাস দেখাবে:

  • কিস্তির তারিখ

  • পেমেন্ট সফল হয়েছে কি না

  • ব্যাংক একাউন্টে গেছে কি না


🎯 অতিরিক্ত সুবিধা:

ওই পোর্টালের “Beneficiary List” অপশন থেকে আপনি আপনার গ্রামের তালিকাভুক্ত কৃষকদের নাম-ও দেখতে পারেন।


📌 টিপস:

  • যদি কোনও ইনস্টলমেন্ট না এসে থাকে, তাহলে “Payment Under Process” বা “Rejected” স্ট্যাটাস দেখা যাবে

  • ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট CSC কেন্দ্র বা পাটোয়ারির সাথে যোগাযোগ করুন

🟢 PM-Kisan Yojana: প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ)


❓ 1. পিএম কিষান সম্মান নিধি যোজনার মূল উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল দেশের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, যাতে তারা কৃষি কাজে বিনিয়োগ করতে পারে এবং আত্মনির্ভর হতে পারে।


❓ 2. এই স্কিমে কত টাকা দেওয়া হয়?

উত্তর: প্রত্যেক যোগ্য কৃষক পরিবার বছরে ₹৬০০০ টাকা পায়, যা তিনটি কিস্তিতে (₹২০০০ করে) চার মাস অন্তর প্রদান করা হয়।


❓ 3. পিএম কিষান যোজনায় কে যোগ্য?

উত্তর: যাদের নাম কৃষি জমির মালিক হিসেবে নথিভুক্ত এবং যারা ভারতীয় নাগরিক, তারা এই স্কিমের জন্য যোগ্য। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত।


❓ 4. অনলাইনে কীভাবে নাম রেজিস্টার করা যায়?

উত্তর: pmkisan.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে “New Farmer Registration” অপশনে ক্লিক করে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে আবেদন করা যায়।


❓ 5. স্ট্যাটাস চেক করব কীভাবে?

উত্তর: অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের “Farmers Corner” সেকশনে “Beneficiary Status” অপশন থেকে আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা মোবাইল নম্বর দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।


❓ 6. যে কৃষকরা আয়কর দেন, তারা কি এই স্কিমে পাবেন?

উত্তর: না, যেসব কৃষক বা তাঁদের পরিবারের কেউ আগের অর্থবছরে আয়কর দিয়েছেন, তারা এই স্কিমের আওতায় পড়েন না।


❓ 7. পিএম কিষান স্কিমের টাকা কবে আসে?

উত্তর: বছরে তিনবার — এপ্রিল-জুলাই, আগস্ট-নভেম্বর, ডিসেম্বর-মার্চ — এই সময়ে ₹২০০০ কিস্তি করে টাকা ব্যাংকে পাঠানো হয়।


❓ 8. আমার কিস্তির টাকা আসেনি, কী করব?

উত্তর: ওয়েবসাইটে গিয়ে Beneficiary Status চেক করুন। যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে CSC সেন্টার বা স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন।


❓ 9. এক পরিবারে একাধিক ব্যক্তি আবেদন করতে পারেন কি?

উত্তর: না, একটি কৃষক পরিবারে (স্বামী, স্ত্রী, এবং অবিবাহিত সন্তান) মাত্র একজনই সুবিধা পাবেন।


❓ 10. আবেদন করতে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?

উত্তর:

  • আধার কার্ড

  • জমির দলিল বা পর্চা

  • নাগরিকত্বের প্রমাণ

  • ব্যাংক একাউন্ট (আধারের সাথে লিঙ্ক)






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

নবীনতর পূর্বতন